In the Name of Allah, The Most Gracious, Ever Merciful.
Love for All, Hatred for None.
আন হুযায়েফাতা (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসূলুল্লাহে (সাঃ) তাকুনু নাবুওয়াতু ফিকুম মাশাআল্লাহু আন তাকুনা সুম্মা ইয়ারফাউহাল্লাহু তাআলা সুম্মাতাকুনু খিলাফতুন ‘আলা মিনহাজিন নবুওয়াতে মাশাআল্লাহহু আন তাকুনা সুম্মা ইয়ারফাউহুহাল্লাহু তাআলা সুম্মাতাকুনু মুলকান আযযান ফাতাকুনু মাশাআল্লাহু আন তাকুনা সুম্মা ইয়ারফাউহাল্লাহু তাআলা সুম্মা তাকুনা মুলকান জাবা রিয়্যাতান ফাতাকুনু মাশাআল্লাহু আনতাকুনা ইয়াফাউহাল্লাহু তাআলা সুম্মা তাকুনু খিলাফাতুন ‘আলা মিনহাজিন নুবুওয়াতে সুম্মা সাকাতা।
অর্থঃ হযরত হুযায়েফা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আঁ হযরত (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মাঝে নবুওয়ত ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ চাইবেন অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তা উঠিয়ে নিবেন। এরপর নবুওয়তের পদ্ধতিতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলা চাইবেন। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তা উঠিয়ে নিবেন। তখন যুলুম, অত্যাচার, উৎপীড়নের রাজত্ব কায়েম হবে। তা ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ চাইবেন। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তা উঠিয়ে নিবেন। তখন তা অহংকার ও জবরদস্তিমূলক সাম্রাজ্যে পরিণত হবে এবং তা ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ চাইবেন। তখন নবুওয়তের পদ্ধতিতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। অতঃপর তিনি (সাঃ) নীরব হয়ে গেলেন।
(মুসনাদ আহমদ, মিশকাত)
ব্যাখ্যাঃ পবিত্র কুরআন হতে এ বিষয়টি পরিস্কার যে, আল্লাহ্ তাআলা ঈমান আনয়নকারী ও পুণ্যকর্মকারীদের মাঝে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। হাদীস হতেও এ বিষয়টি প্রমাণিত। অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদীয়া যখন কুরআনের শিক্ষার উপর সঠিকভাবে আমল করবে তখন আল্লাহ্র এ অঙ্গীকার পূর্ণ হবে।
হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) বলেন,
“কিছু লোক ওয়াদাল্লাহুল্লাযীনা আমানু মিনকুম ওয়া আমেলুস সালেহাতে লাইয়াস তাখলেফান্নাহুম ফিল আরযে কামাস্ তাখলাফাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম” এর বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তারা ‘মিনকুম’ - তোমাদের মধ্য হতে-অনুবাদক)-এর অর্থ শুধু সাহাবাদের (রাঃ) নিয়ে থাকেন, এবং বলেন খেলাফত তাদের মাঝেই ও তাঁদের যুগেই শেষ হয়ে গেছে ও কিয়ামত পর্যন্ত খেলাফতের নাম গন্ধ থাকবে না। এ কথার অর্থ হলো খিলফত স্বপ্নের মত শুধু ত্রিশ বছর পর্যন্ত ছিল এবং এরপরে ইসলাম ক্রমাগত অধপতনের অশুভ গর্ভে নিপতিত হয়ে গেলো।”
“এগুলোকে নিয়ে যদি কেউ গভীরভাবে পর্যালোচনা করে তবে আমি কিভাবে বলতে পারি যে সে ব্যক্তি এ বিষয়টিকে বুঝতে পারে নি যে, এখানে খেলাফতের অঙ্গীকার স্থায়ীভাবে করা হয়েছে। এ খিলাফত যদি স্থায়ী না হয়ে থাকে তবে মূসা (আঃ)-এর শরীয়তের খলীফাদের সাথে তুলনা দেবার কী প্রয়োজন ছিল?”
“যেহেতু মানুষের জন্য কোন স্থায়ীত্ব নেই তাই আল্লাহ্ তাআলা চেয়েছেন যে, মানুষের মাঝে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম সত্তার অধিকারী রসূলকে যিল্লী (প্রতিবিম্ব)-ভাবে কেয়ামত পর্যন্ত জীবিত রাখবেন। তাই এ উদ্দেশ্যে তিনি খিলাফত সৃষ্টি করেছেন। যাতে করে রেসালতের কল্যাণ হতে পৃথিবী যেন কখনও বঞ্চিত না হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি খিলাফতকে শুধু ত্রিশ পর্যন্ত মানে সে মূর্খতাবশতঃ খিলাফতের মূল উদ্দেশ্যকে উপেক্ষা করে। খোদা তাআলার উদ্দেশ্য কখনও এটা ছিল না যে, রসূল করীম (সাঃ)-এর ওফাতের পর রেসালতের কল্যাণকে খলীফাদের সত্তায় ত্রিশ বছর পর্যন্ত বিদ্যমান রাখবেন আর এরপর পৃথিবী যদি ধ্বংস হয়ে যায় তবে কোন পরওয়া নেই”।
(শাহাদাতুল কুরআন পৃঃ ৩৪, পৃঃ ৫৮)
আল্লাহ্ তাআলা আমাদের খিলাফতের রজ্জুকে ধরে এর আশীষ হতে কল্যণমন্ডিত হবার তৌফিক দান করুন, আমীন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যাঃ মাওলানা সালেহ আহমদ, মুরব্বী সিলসিলাহ্